WhatsApp Icon
Assalamoalikum.Welcome to Muslim University....

Abdur Razzaq bin Yousuf

Teacher Photo

Abdur Razzaq bin Yousuf

Designation: চেয়ারম্যান, নিবরাস ইসলামিক রিসার্চ ফাউন্ডেশন। ◾মহাপরিচালক, আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ বাংলাদেশ।

Qualification: ...

Faculty: Quran & Hadith

Biography:

সংক্ষিপ্ত পরিচিতি

আব্দুর রাযযাক বিন ইউসুফ বাংলা ভাষাভাষী মানুষদের মাঝে অতি পরিচিত একটি নাম। বক্তব্য, লেখনী, শিক্ষকতা, পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রতিষ্ঠান পরিচালনাসহ দ্বীনী খেদমতের সব বিভাগে রয়েছে তার সরব পদচারণা। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল আলেম-ওলামার মাটি দেবীনগরে ১৯৬০ সালে একটি সম্ভ্রান্ত ধার্মিক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।                                                                                                                                                                                   
শিক্ষা জীবন:


পড়াশোনার হাতেখড়ি গ্রামের মক্তবে। তিনি নাচোল, চাঁপাইনবাবগঞ্জ মাদরাসায় ১৯৭৫ থেকে ১৯৮২ ইং পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। সেখানে হাদীছের অন্যতম কিতাব মিশকাত পর্যন্ত পড়াশোনা করে উচ্চ শিক্ষার উদ্দেশ্যে ইলমের কেন্দ্র বলে খ্যাত ভারতের উত্তর প্রদেশ গমন করেন। উত্তর প্রদেশের দারুল উলুম মউনাথভাঞ্জান থেকে দাওরায়ে হাদীছ সম্পন্ন করেন। ১৯৮৩ থেকে ১৯৮৮ ইং পর্যন্ত দীর্ঘ ৫ বছর যাবৎ ভারতে উচ্চ শিক্ষা সমাপ্ত করে দেশে ফিরে আসেন।দেশে ফিরে এসে কর্মজীবনের পাশাপাশি তিনি কলকাতা আলিয়া বোর্ড ও ঢাকা আলিয়া বোর্ড থেকে আলিম ও ফাযিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। হাদীছ ও তাফসীর বিষয়ে তিনি ১ম বিভাগে কামিল পাশ করেন।                                                                                                                                                                                
কর্মজীবন:


২০ আগস্ট ১৯৮৮ ইং সালে আল-মারকাযুল ইসলামী, জান্নাতপুর, গোবিন্দগঞ্জ, গাইবান্ধায় মুহাদ্দিছ হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেন। ১৯৯০ সালে আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, সপুরা, রাজশাহীতে মুহাদ্দিছ হিসেবে যোগ দেন এবং একই প্রতিষ্ঠানে ২০০৯-২০১৫ সাল পর্যন্ত প্রিন্সিপ্যাল এর দায়িত্ব পালন করেন।২০১৬ আল-জামি’আহ আস-সালাফিয়্যাহ, ডাঙ্গিপাড়া, পবা, রাজশাহী শাখা প্রতিষ্ঠা করেন ও সেখানেই প্রিন্সিপ্যাল এর দায়িত্ব পালন শুরু করেন এবং এখন পর্যন্ত এ প্রতিষ্ঠানেই দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।                                                                                                                                                                                
দাওয়াতী কাজ:


     I.            বক্তৃতা, মিডিয়া-এর মাধ্যমে দাওয়াতী ক্ষেত্রে অবদান:
কর্মজীবনের পাশাপাশি বক্তব্যের মাধ্যমে দাওয়াতী কাজেও অবদান রাখা শুরু করেন। তার বক্তব্যের অন্যতম বৈশিষ্ট্য হচ্ছে, মাযহাব-মাসলাক নির্বিশেষে আপামর মুসলমানদের উদ্দেশ্যে তিনি নছীহতমূলক বক্তব্য দেন। বিশেষ করে জান্নাত, জাহান্নাম, কিয়ামত, আদর্শ পরিবার গঠন ইত্যাদি বিষয়ে তার বক্তব্য সকল মানহাজের মানুষের হৃদয়ে নাড়া দিতে সক্ষম। তার বক্তব্যের পুরো অংশ জুড়ে থাকে হাদীছের অনুবাদ। তিনি আল-ইতিছাম টিভি ও পীস টিভি বাংলাতে নিয়মিত আলোচনা করে থাকেন। দেশের বাইরে সউদী আরব, মালয়েশিয়া, মালদ্বীপ, মিশর, ভারত, দুবাই ও নেপালে বিভিন্ন প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন।
  II.            লেখনীর মাধ্যমে দাওয়াতী ক্ষেত্রে অবদান:
বক্তৃতার পাশাপাশি ১৯৯৭ সাল থেকে মাসিক আত-তাহরিক পত্রিকায় মুফতি হিসেবে ধর্মীয় বিভিন্ন মাস’আলা-মাসায়েল নিয়ে ফাতওয়া লেখা শুরু করেন।এবং ২০১৬ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত মাসিক আল-ইতিছাম পত্রিকার প্রধান সম্পাদক ও প্রধান মুফতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। ফাতওয়া লেখা ও সম্পাদনার পাশাপাশি বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রবন্ধ প্রকাশ করেন।এখন পর্যন্ত তার বইয়ের সংখ্যা ১৭ টি। যার প্রায় সবগুলোই পাঠকনন্দিত। নিম্নে বইয়ের তালিকা দেওয়া হলো-
1.      আইনে রাসূল a দু'আ অধ্যায়
2.      রাসূলa-এর ছালাত বনাম প্রচলিত ছালাত
3.      তাওযীহুল কুরআন (৩০ পারা)
4.      তাওযীহুল কুরআন (২৯ পারা)
5.      তাওযীহুল কুরআন (২৮ পারা)
6.      মরণ একদিন আসবেই
7.      আদর্শ আদর্শ
8.      আদর্শ পুরুষ
9.       নারী পরিবার
10.  কে বড় লাভবান
11.  কে বড় ক্ষতিগ্রস্ত
12.  বক্ত ও শ্রোতার পরিচয়
13.  তাফসীর কি মিথ্যা হতে পারে?
14.  উপদেশ
15.  পোশাক
16.  হজ্জ ও উমরা
17.  সদাচরন
প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনা:
সারা দেশে ইসলামী শিক্ষাকে ছড়িয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে তিনি মানসম্মত প্রতিষ্ঠান গড়ার কাজ করে যাচ্ছেন। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আল-জামি'আহ আস-সালাফিয়্যাহ, রূপগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ, ডাঙ্গীপাড়া, পবা, রাজশাহী, তেঘরা, বিরল, দিনাজপুর। পাশাপাশি আল-মাদরাসাতুস সালাফিয়া, আটমল, বগুড়া; বৃ-কুষ্টিয়া দারুল হাদীছ সালাফিয়া মাদরাসা, বগুড়া; মহিলা সালাফিইয়া মাদরাসা, নওদাপাড়া, রাজশাহী ইত্যাদি অনেক প্রতিষ্ঠানের শুরুটা তার হাত দিয়েই হয়েছে। এ ছাড়াও অনেক প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে নিতে সহযোগিতা করেছেন। তন্মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, আল-মারকাযুল ইসলামী আস-সালাফী, নওদাপাড়া, রাজশাহী। বর্তমানে তার কিছু পরিচালিত প্রতিষ্ঠানে তালিকা-
1.      আল-জামি’আহ আস-সালাফিয়্যাহ, নারায়ণগঞ্জ, রাজশাহী, দিনাজপুর, বরিশাল।
2.      বায়তুল হামদ জামে মসজিদ, রাজশাহী, নারায়ণগঞ্জ
3.      মাসিক-আল ইতিছাম
4.      উসমান ইবনে আফফান (রাঃ) কুরআন গবেষণা কেন্দ্র
5.      আল-ইতিছাম প্রিন্টিং প্রেস
6.      আল-ইতিছাম টিভি
7.      আল-ইতিছাম গবেষণা বিভাগ
8.      আদ-দাওয়াহ ইলাল্লাহ
9.      মাকতাবাতুস সালাফ        
                                                                                                                                                                                
                                                                                                                                                                         
মানবসেবামূলক কাজে অবদান:


মানবসেবামূল কাজে তার অবদান অনস্বীকার্য। তার তত্ত্বাবধায়নে আল-জামি’আহ আস-সালাফিয়্যাহ, বাংলাদেশ এ প্রায় ২০০ জন ইয়াতিম ও প্রায় ৫০০ জন্য দুস্থ শিক্ষার্থী প্রতিপালিত হয়।এছাড়া দেশের বিভিন্ন দূর্যোগে ত্রাণ ও পুনর্বাসন এর কাজ করেন থাকেন।তার মধ্যে রোহিঙ্গা পুনর্বাসন, বন্যার্থদের মাঝে ত্রান বিতরণ, শীত বস্ত্র বিতরণ, করনাকালীন ফ্রি অক্সিজেন ও মেডিকেল সেবা, দেশব্যাপী মক্তব প্রতিষ্ঠা, ফ্রি বই বিতরণ, ফ্রি কুরবানী  বিতরণ উল্লেখযোগ্য।এছাড়া বিভিন্ন পরিস্থিতিতে তার তত্ববধায়নে ত্রান ও সহায়তা সেবার কাজ চলমান রয়েছে।
আমরা দু'আ করব মহান আল্লাহ যেন তাকে আরও উত্তরোত্তর দ্বীনের খেদমত করার তাওফীক দান করেন- আমীন!