...কেনো ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে হবে ? ইলম অর্জনের জন্য আমরা একটি ধারাবাহিক পদ্ধতি নির্ধারণ করেছি যা আমাদের শিক্ষা ও আত্মউন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয়। এই ধারাবাহিকতা আমাদেরকে লক্ষ্যপূরণে সহায়তা করবে এবং একটি সঠিক ভিত্তির উপর দাঁড়াতে সাহায্য করবে। কেননা আমরা যেকোনো বিষয় যা তা পাইলাম পড়া জানা শুরু করলাম তা করা যাবে না । হতে পারে মোটিভেশনাল বই বা অনলাইন ক্লিপ। তাহলে আপনি উগ্রবাদী বা শৈথিল্যবাদী এককথায় গোমরাহ হোয়ার সম্ভাবনা আছে । তাই আমরা ইলম অর্জনের যে ধারাবাহিকতা নির্ধারণ করেছি সেটা ফলো করলে ইওলামের আসল সৌন্দর্য খুজে পাবেন এবং আপনার ইলম অর্জনের প্রতি স্পৃহা আরও বাড়বে ইনশাআল্লাহ।
ইলম অর্জন একটি নৈবেদ্য শিল্প। এটি কেবলমাত্র জ্ঞান সঞ্চয় নয়, বরং জীবনের সঠিক দিকনির্দেশনা ও আত্মউন্নয়নের এক ধারাবাহিক প্রচেষ্টা। দ্বীন ও দুনিয়ার সেতুবন্ধন রচনায় ইলমের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ইলমের মর্যাদা, তা অর্জনের বাধ্যবাধকতা, এবং সঠিক পদ্ধতিতে ধারাবাহিকতা বজায় রেখে তা অনুসরণ করাই ইলম অর্জনের প্রকৃত সৌন্দর্য প্রকাশ করে।
এই শাস্ত্রের মূল লক্ষ্য হলো মানুষকে তাকওয়া, ইখলাস, পবিত্রতা, ধৈর্য, এবং উত্তম চরিত্রের সাথে ইলম অর্জনের প্রতি উদ্দীপিত করা। ইলম অর্জনের মাধ্যমে ব্যক্তি শুধু নিজের জন্য নয়, বরং পরিবার, সমাজ এবং পুরো মানবজাতির জন্য কল্যাণ বয়ে আনতে পারে।
ইলম অর্জনের মাধ্যম হতে পারে পুথিগত, প্রাতিষ্ঠানিক, বা ভার্চুয়াল—যেকোনো পদ্ধতিতে। তবে ধারাবাহিকতা ও সঠিক পদ্ধতির অভাব ইলমের প্রকৃত উদ্দেশ্যকে ব্যাহত করতে পারে। তাই ইলম অর্জনের ক্ষেত্রে ধাপে ধাপে ইসলামের মৌলিক বিষয়গুলো শেখা, আলেমদের পরামর্শ গ্রহণ, এবং আল্লাহর আদেশ মেনে চলাই হলো সঠিক পথ।
ইলম অর্জন দুনিয়ার জন্য প্রয়োজনীয় এবং আখিরাতে মুক্তির অন্যতম মাধ্যম। সুতরাং সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করে ইলম অর্জনের এ শিল্পকে জীবনের অংশ করে নেওয়াই প্রত্যেক মুসলিমের দায়িত্ব।
write_a_public_review